বাংলাদেশে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে শিল্প কারখানা, আবাসিক এলাকা, অফিস কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান—সব জায়গায় এখন নিরাপত্তা কর্মীর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু আপনি কি জানেন, এসব সেবা চালানো ও গ্রহণ করতে সিকিউরিটি সার্ভিসের আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক?
আজকের ব্লগে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস চালানোর জন্য প্রযোজ্য আইন, লাইসেন্স প্রক্রিয়া, দায়িত্ব, ভ্যাট-করের নিয়ম, এবং গ্রাহকের অধিকার নিয়ে।
সরকার অনুমোদিত এবং অভিজ্ঞ Care Force Security Services Ltd. আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা সেবা প্রদান করে থাকে।
প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিসের আইন কী?
বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালে প্রণীত প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সি আইন এবং পরবর্তী সংশোধনী অনুযায়ী, যে কোনো প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানি চালাতে হলে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়।
- প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস আইন নিরাপত্তা কোম্পানির নিবন্ধন, অনুমোদন ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে।
- বাংলাদেশে সিকিউরিটি সার্ভিস আইন অনুযায়ী প্রতিটি কোম্পানিকে সরকারি অনুমোদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
- প্রাইভেট গার্ড আইন বাংলাদেশ নিরাপত্তা কর্মীর যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে।
- নিরাপত্তা সেবার আইন নিশ্চিত করে যেন প্রতিটি নাগরিক পেশাদার নিরাপত্তা সেবা পায়।
প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানির লাইসেন্স ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া
লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম
বাংলাদেশে প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানি চালাতে হলে সর্বপ্রথম লাইসেন্স নিতে হবে।
- বাংলাদেশে সিকিউরিটি কোম্পানির লাইসেন্স পেতে আরজেএসসি (RJSC) তে নিবন্ধন করতে হয়।
- সিকিউরিটি সার্ভিস লাইসেন্স প্রক্রিয়া তে ভ্যাট নিবন্ধন, টিআইএন সার্টিফিকেট, এবং স্থানীয় থানার ক্লিয়ারেন্স অন্তর্ভুক্ত।
- প্রাইভেট গার্ড নিয়োগের আইন অনুযায়ী প্রতিটি গার্ডকে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হয়।
- নিরাপত্তা কোম্পানি নিবন্ধন বাংলাদেশ প্রক্রিয়ায় শ্রম আইন, ভ্যাট আইন ও লাইসেন্স একসাথে বিবেচনা করা হয়।
সরকারি অনুমোদন ও শর্তাবলী
- প্রাইভেট সিকিউরিটি লাইসেন্স আইন অনুসারে কোম্পানি চালাতে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আবশ্যক।
- সিকিউরিটি এজেন্সি অনুমোদন বাংলাদেশ এর মাধ্যমে একটি কোম্পানি সরকারি রেকর্ডে যুক্ত হয়।
- প্রতিটি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সিকিউরিটি কোম্পানি কে ভ্যাট, কর ও নিরাপত্তা নীতি মেনে চলতে হয়।
- Care Force BD দীর্ঘ ২৩ বছরের অভিজ্ঞতায় এ সমস্ত শর্ত পূরণ করে সেবা প্রদান করে আসছে।
অভিজ্ঞ ও দক্ষ গার্ড পেতে ভিজিট করুন: Care Force BD
বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ও তাদের আইন
গার্ড, বডিগার্ড ও গানম্যান সার্ভিস
- বাংলাদেশে নিরাপত্তা গার্ড আইন অনুযায়ী প্রত্যেক গার্ডকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হয়।
- বাংলাদেশে বডিগার্ড নিয়োগের আইন ভিআইপি ও কর্পোরেট সুরক্ষার জন্য আলাদা নিয়ম নির্ধারণ করে।
- বডিগার্ড সার্ভিস আইন বাংলাদেশে চুক্তি, লাইসেন্স এবং প্রশিক্ষণকে বাধ্যতামূলক করেছে।
- গানম্যান নিয়োগের নিয়ম অনুসারে অস্ত্রধারী নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: গানম্যান লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত
লেডি গার্ড, পিয়ন ও মেসেঞ্জার সার্ভিস
- লেডি গার্ড সার্ভিস আইন অনুযায়ী নারী নিরাপত্তা কর্মীর জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক।
- মেসেঞ্জার ও পিয়ন সার্ভিস আইন অফিস ও শিল্প কারখানায় সহায়ক সেবা প্রদানে প্রযোজ্য।
বিশেষায়িত সার্ভিস
- নার্সিং ও হোম কেয়ার সার্ভিস আইন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিবন্ধন আবশ্যক করে।
- নিরাপত্তা কর্মীর প্রশিক্ষণ আইন নিশ্চিত করে যে প্রতিটি কর্মী যথাযথ ট্রেনিং প্রাপ্ত।
ভৌগলিকভাবে প্রযোজ্য আইন ও নিয়ম
বাংলাদেশের প্রতিটি শহরে সিকিউরিটি সার্ভিস চালাতে আলাদা প্রশাসনিক শর্ত থাকতে পারে।
- ঢাকা প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস আইন – রাজধানীতে কার্যক্রম চালাতে অতিরিক্ত অনুমোদন প্রয়োজন।
- চট্টগ্রামে সিকিউরিটি কোম্পানির নিয়ম – বন্দর ও শিল্প এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো বাধ্যতামূলক।
- গাজীপুর কারখানা নিরাপত্তা আইন – শিল্প কারখানায় শ্রমিক সুরক্ষার জন্য বিশেষ বিধান রয়েছে।
- নারায়ণগঞ্জ শিল্প এলাকা সিকিউরিটি আইন – গার্মেন্টস ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রযোজ্য।
- মিরপুর সিকিউরিটি গার্ড নিয়ম – আবাসিক এলাকায় বিশেষ গার্ড অনুমোদন প্রয়োজন।
- গুলশান সিকিউরিটি সার্ভিস রুলস ও বসুন্ধরা আবাসিক সিকিউরিটি আইন – উচ্চমানের আবাসিক নিরাপত্তা সেবার নিয়মাবলী।
প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানির দায়িত্ব, কর ও ভ্যাট আইন
প্রতিটি কোম্পানিকে কর ও ভ্যাট সঠিকভাবে পরিশোধ করতে হয়।
- প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানির ভ্যাট ও রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী এনবিআর-এ রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
- বাংলাদেশে সিকিউরিটি সার্ভিসে কর ও ভ্যাট আইন অনুসারে প্রতিটি সেবার ওপর ভ্যাট ধার্য হয়।
- শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস এর কর্মীরা ন্যায্য বেতন, ছুটি ও সুবিধা পান।
- সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ চুক্তি আইন লিখিত চুক্তি ছাড়া কোনো গার্ড নিয়োগের অনুমতি দেয় না।
- প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানির দায়িত্ব ও কর্তব্য গ্রাহকের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা।
আইন লঙ্ঘন ও শাস্তি
- প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি হতে পারে জরিমানা, লাইসেন্স বাতিল বা কোম্পানি বন্ধ।
- গ্রাহকরা যদি প্রতারণার শিকার হন, গ্রাহকের অধিকার ও প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস অনুযায়ী অভিযোগ করতে পারেন।
হালনাগাদ ও সংশোধিত আইন
- প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সি আইন ২০০৬ (বা সংশোধিত আইন) সময়ে সময়ে হালনাগাদ করা হয়।
- বাংলাদেশে সিকিউরিটি সার্ভিস নিয়মাবলী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
- প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস রেগুলেশন এর মাধ্যমে নিরাপত্তা খাতকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস চালাতে কী কী আইন মানতে হয়?
সারসংক্ষেপে বলা যায়, বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানি চালাতে হলে সিকিউরিটি সার্ভিসের আইন অনুযায়ী লাইসেন্স, নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ ও ভ্যাট আইন মেনে চলা আবশ্যক।
আপনার নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় আজই যোগাযোগ করুন: Care Force BD – বাংলাদেশের #1 সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি
FAQs
প্রশ্ন ১: বাংলাদেশে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস চালাতে কোন আইন মানতে হয়?
বাংলাদেশে প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সি আইন ২০০৬ এবং সংশোধিত আইন অনুযায়ী নিবন্ধন, লাইসেন্স ও সরকারি অনুমোদন নিতে হয়।
প্রশ্ন ২: প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানি খোলার জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
আরজেএসসি নিবন্ধন, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট এবং আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দরকার।
প্রশ্ন ৩: সিকিউরিটি গার্ড বা বডিগার্ড নিয়োগে কী কী শর্ত আছে?
প্রাথমিক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং লাইসেন্স আবশ্যক।
প্রশ্ন ৪: সিকিউরিটি সার্ভিস আইন লঙ্ঘন করলে কী শাস্তি হতে পারে?
জরিমানা, লাইসেন্স বাতিল, বা কোম্পানি বন্ধ করার মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
প্রশ্ন ৫: বাংলাদেশে গানম্যান বা অস্ত্রধারী নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের আলাদা আইন আছে কি?
হ্যাঁ, অস্ত্রের লাইসেন্স, গানম্যান প্রশিক্ষণ এবং বিশেষ অনুমোদন ছাড়া কোনো গানম্যান নিয়োগ করা যায় না।