বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি, শিল্প কারখানা, বাণিজ্যিক এলাকা এবং আবাসিক কমপ্লেক্সে এখন নিরাপত্তা কর্মীর চাহিদা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। নিরাপত্তা শুধু বিলাসিতা নয়, বরং একটি অপরিহার্য সেবা।
কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োগের সময় অনেকেই শ্রম আইন সম্পর্কে সচেতন নন। যার ফলে কর্মীর অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এবং প্রতিষ্ঠানও ঝুঁকিতে পড়ে।
এই লেখায় আমরা জানব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে শ্রম আইন সম্পর্কিত মূল নিয়ম, দায়িত্ব ও Care Force Security Services Ltd কীভাবে এই আইন সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদান করছে।
নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে শ্রম আইনের মূল ধারাগুলো
বাংলাদেশে শ্রম বিষয়ক সব নিয়ম পরিচালিত হয় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (পরিমার্জিত ২০১৮) অনুযায়ী। এই আইনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
নিয়োগপত্র ও চুক্তি
প্রত্যেক নিরাপত্তা কর্মীকে লিখিত নিয়োগপত্র দিতে হয়। তাতে কাজের ধরন, সময়, বেতন, ছুটি, দায়িত্ব ইত্যাদি উল্লেখ থাকা আবশ্যক।
কাজের সময় ও বিশ্রাম
শ্রম আইনে বলা আছে, একজন কর্মী প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। সপ্তাহে ১ দিন বিশ্রাম বাধ্যতামূলক।
বেতন ও অতিরিক্ত সময়
নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজ করলে ওভারটাইম হিসেবে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিতে হবে। ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের নির্দেশনাও মানতে হবে।
ছুটি ও বীমা
প্রতি বছর নির্দিষ্ট ছুটি ও চিকিৎসা সুবিধা দিতে হয়। নিরাপত্তা কর্মীর জন্য দুর্ঘটনা বীমা রাখা আইনগতভাবে সুপারিশকৃত।
প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা মান
শ্রম আইন অনুযায়ী, নিয়োগের আগে প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা প্রদান করতে হয়। এতে কর্মীর পেশাগত দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের আইনগত বাধ্যবাধকতা
একটি নিরাপত্তা কোম্পানিকে অবশ্যই নিম্নলিখিত আইনগত বিষয়গুলো মেনে চলতে হয়—
- লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন: প্রতিটি সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানির সরকারি অনুমোদন থাকতে হয়।
- বীমা কাভারেজ: কর্মীর নিরাপত্তা বীমা নিশ্চিত করা কোম্পানির দায়িত্ব।
- শ্রম আইন অনুসরণ: কাজের সময়, বেতন, ছুটি, এবং পেশাগত নিরাপত্তা বিষয়ে আইন মানা বাধ্যতামূলক।
- ডকুমেন্ট সংরক্ষণ: নিয়োগপত্র, উপস্থিতি রেজিস্টার, বেতন রেজিস্টার সবকিছু সংরক্ষণ করতে হয়।
আইন না মানলে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও লাইসেন্স বাতিলের শাস্তি পেতে হতে পারে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে বিষয়গুলো অবশ্যই মানতে হবে
নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের সময় কিছু নির্দিষ্ট বিষয় মানা জরুরি—
- বয়স: ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে
- শিক্ষা: ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান
- শারীরিক যোগ্যতা: ফিটনেস টেস্ট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন: অপরাধমুক্ত প্রমাণ
- প্রশিক্ষণ: কমপক্ষে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ
- আচরণ ও মনোভাব: দায়িত্বশীল ও শৃঙ্খলাবদ্ধ
Care Force Security Services Ltd-এর ভূমিকা ও বিশেষত্ব
Care Force BD গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে সেরা নিরাপত্তা সেবা প্রদান করে আসছে। আমাদের সব কর্মী শ্রম আইন অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষিত।
আমাদের বিশেষত্ব:
- সরকারি অনুমোদিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান
- সব কর্মী পুলিশ ও স্বাস্থ্য যাচাইপূর্বক নিয়োগপ্রাপ্ত
- প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Mirpur-02) থেকে বাধ্যতামূলক ট্রেনিং
- ন্যায্য বেতন, ছুটি ও উৎসব বোনাসের নিশ্চয়তা
- ২৪/৭ মনিটরিং ও জরুরি সাড়া টিম
আমরা শুধু সেবা বিক্রি করি না, আমরা নিরাপত্তা, বিশ্বাস ও পেশাদারিত্ব প্রদান করি।
শ্রম আইন মানলে কী সুফল পাওয়া যায়
শ্রম আইন অনুসারে নিয়োগ দিলে শুধু কর্মীরই নয়, প্রতিষ্ঠানেরও লাভ হয়।
- কর্মক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা: কর্মীরা নিশ্চিন্তে কাজ করেন।
- পেশাদার মান বজায় থাকে: নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও চুক্তি পদ্ধতি পেশাদারিত্ব বাড়ায়।
- আইনি ঝুঁকি হ্রাস: আইন না মানলে জরিমানা হয়, কিন্তু মানলে প্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত থাকে।
- গ্রাহকের আস্থা বৃদ্ধি: আইন মেনে চলা প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহক বেশি বিশ্বাস করে।
Care Force BD কিভাবে শ্রম আইন মেনে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করে
Care Force Security Services Ltd সবসময় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মেনে চলে।
আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া:
- প্রাথমিক স্ক্রিনিং ও কাগজ যাচাই
- পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- Mirpur ট্রেনিং সেন্টারে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ
- পরীক্ষা ও সার্টিফিকেট প্রদান
- মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি
প্রতিটি কর্মী নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষিত হয়, এবং কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ শুধু একটি প্রশাসনিক কাজ নয়, এটি একটি আইনি দায়িত্ব। শ্রম আইন মানলে কর্মী সন্তুষ্ট থাকে, প্রতিষ্ঠান সুনাম অর্জন করে, এবং সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়।
আপনি যদি চান অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত এবং শ্রম আইন অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী, তাহলে Care Force Security Services Ltd হতে পারে আপনার সবচেয়ে নিরাপদ পছন্দ।
হটলাইন: 01716401771
ওয়েবসাইট: careforcebd.com
FAQs
১. নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে কী কী আইন প্রযোজ্য?
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিসেস রেগুলেশন অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হয়।
২. একজন নিরাপত্তা কর্মীর জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা কী?
ন্যূনতম এসএসসি পাস, বয়স ১৮–৪৫ বছর, এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন আবশ্যক।
৩. Care Force Security Services কীভাবে শ্রম আইন অনুসরণ করে?
প্রতিটি কর্মী প্রশিক্ষিত, বীমাকৃত ও লিখিত চুক্তির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়।
৪. লাইসেন্স ছাড়া নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ কি বৈধ?
না। এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধুমাত্র সরকারি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানই নিরাপত্তা কর্মী সরবরাহ করতে পারে।
৫. কেয়ার ফোর্স থেকে কীভাবে সেবা নেওয়া যায়?
হটলাইন 01716401771 নম্বরে যোগাযোগ করুন অথবা careforcebd.com -এ ভিজিট করুন।





